নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ-সাদাপাথর রুটে ‘সাদাপাথর পরিবহন’ নামে ২১টি বাস দিয়ে স্পেশাল গেইট লক সার্ভিস চালু হতে যাচ্ছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর রোববার। সাধারণ জনগণ ও পর্যটকদের বিশেষ সুবিধার জন্য বিআরটিএ অনুমোদিত আরামদায়ক ও নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ‘সাদাপাথর পরিবহন’ চালু করা হচ্ছে। প্রতিটি বাসে থাকবে উচ্চ প্রযুুক্তির ওয়াইফাই ও আধুনিক ই-টিকেটিং ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের লামাবাজারস্থ একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই বাস সার্ভিস চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।
‘সাদাপাথর পরিবহন’ মালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, বিজয়ের মাসে উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ‘সাদাপাথর পরিবহন’ এর প্রত্যেক যাত্রী ও পর্যটকদের জন্য থাকছে টিকেটের সাথে ১টি বিশুদ্ধ মিনারেল পানি ও স্ন্যাকসের প্যাকেট। থাকবে যাত্রীদের জন্য শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাউন্টারসহ মহিলা ও পুরুষদের আলাদা বসার সুপরিসর ব্যবস্থা। ভোলাগঞ্জ হতে সাদাপাথর যাওয়ার জন্য নৌকাঘাটে ‘সাদাপাথর পরিবহন’ নামে বিশেষ নিরাপদ নৌকার ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে িি.িংযধফধঢ়ধঃযড়ৎঢ়ধৎরনধযধহ.পড়স নামে একটি ওয়েব সাইট ডেভেলাপ করা হয়েছে। তারই পাশাপাশি সাদাপাথর পরিবহন নামে একটি মোবাইল অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। যা আগামী ১৫ ডিসেম্বর উদ্বোধনের দিন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
সিলেট সালুটিকর, কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, হাদারপাড়, রাধানগর বাস, মিনিবাস মটর মালিক সমিতির অধীনে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর, রুটে “সাদাপাথর পরিবহন” স্পেশাল গেইট লক সার্ভিস চালু হবে জানিয়ে নাদেল আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অভূতপূর্ণ সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট হতে কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ রুট এর অন্যতম উদাহরণ। আপনারা আরোও অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের পর্যটন জেলার প্রাণ কেন্দ্র সিলেট জেলা সকলের নিকট সুপরিচিত।’
প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হইতে তথাপি বহি:বিশ^ হইতে অনেক পর্যটক সিলেট জেলার পর্যটন কেন্দ্র গুলো পরিদর্শনের জন্য আসেন। দিনে দিনে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো আকর্ষনীয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর বিশেষ আকর্ষনীয় পর্যটন স্থান দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষনী হয়ে উঠেছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত: সিলেট হতে কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর রুটে মানসম্মত, নিরাপদ, আরামদায়ক পরিবহন সেবা না থাকার কারণে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ ত্রি-হুইলার, ফিটনেস বিহীন ও অবৈধ এবং অনুমোদিতহীন যানবাহন দ্বারা বিভিন্ন প্রান্ত হইতে পর্যটকরা সাধারণ জনগণ, শিক্ষার্থী দৈনিক যাতায়াত করে আসছে এবং বিভিন্ন স্থান হতে আসা পর্যটকদের কাছে সাদাপাথরসহ অন্য পর্যটন স্থানগুলো আকর্ষনীয় হারাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) এর তথ্য মতে বাংলাদেশের প্রতি বছর সড়ক দূর্ঘটনা একটি বিরাট অংশ এ সকল অবৈধ ও অনুমোদনহীন যানবাহন দ্বারা সংগঠিত হয়। এ সকল অবৈধ ত্রি-হুইলার, ফিটনেসবিহীন যান বন্ধ করার জন্য আমাদের সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নকে সাথে নিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সালুটিকর, কোম্পানীগঞ্জ, ভোলাগঞ্জ, গোয়াইনঘাট হাদারপাড়, রাধানগর বাস, মিনিবাস মটর মালিক সমিতির সভাপতি রিমাদ আহমেদ রুবেল প্রমুখ।